
মহিউদ্দিন চৌধুরীর নামে হচ্ছে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, জানে আলম দোভাষের নামে এক্সেস রোড
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামের প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নামকরণ সাবেক মেয়র মহিউদ্দিন চৌধুরীর নামে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ চট্টগ্রামের প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নামকরণ সাবেক মেয়র মহিউদ্দিন চৌধুরীর নামে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ।
চট্টগ্রামের প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নামকরণ সাবেক মেয়র মহিউদ্দিন চৌধুরীর নামে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)। পাশাপাশি নবনির্মিত বাকলিয়া এক্সেস রোডটি সিডিএ চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষের প্রয়াত পিতা জানে আলম দোভাষের নামে করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) সিডিএ ভবনে আয়োজিত ৪৫৮তম বোর্ড সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিডিএর প্রধান প্রকৌশলী হাসান বিন শামস। সিডিএ চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষের সভাপতিত্বে সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় পতেঙ্গা আউটার রিং রোডের একটি সংযোগ সড়ক বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছার নামে করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
প্রধান প্রকৌশলী হাসান বিন শামস বলেন, ‘বোর্ড সভার সদস্যরা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নামকরণ সাবেক মেয়র মহিউদ্দিন চৌধুরীর নামে করার প্রস্তাব দিয়েছেন। সিডিএ চেয়ারম্যান প্রস্তাব অনুমোদন করেছেন। চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য অনুমোদিত প্রস্তাবনা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।’
নগরের লালখানবাজার থেকে পতেঙ্গা পর্যন্ত চট্টগ্রামের প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে, আগামী নভেম্বরে এই ওয়েতে যান চলাচল শুরুর কথা রয়েছে। অন্যদিকে বাকলিয়া এক্সেস রোড ও আউটার রিং রোডের সংযোগ সড়কটি ইতোমধ্যে যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে।
হাসান বিন শামস বলেন, ‘১৬ কিলোমিটারের এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের লালখানবাজার পর্যন্ত নভেম্বরে উদ্বোধন করতে চাচ্ছি আমরা। যদি লালখানবাজার পর্যন্ত পারা না যায়, তাহলে টাইগারপাস পর্যন্ত উদ্বোধন করা হবে। তবে লক্ষ্য থাকবে পুরো কাজ শেষ করে উদ্বোধন করার।’
সিডিএ সূত্র জানায়, চট্টগ্রাম নগরীর যানজট নিরসনের লক্ষ্যে ২০১৭ সালের ১১ জুলাই একনেক সভায় লালখানবাজার থেকে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পর্যন্ত ‘এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ’ প্রকল্প অনুমোদন করা হয়। প্রথমে প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় তিন হাজার ২৫০ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। তিন বছরের মধ্যে অর্থাৎ ২০১৭ সালের জুলাই থেকে ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত প্রকল্পের কাজ শতভাগ শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তা হয়নি।
দ্বিতীয় দফায় ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়। তবে মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই তৃতীয় দফায় ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত সময় বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়। এই দফায় সময় বেড়েছে এক বছর। অর্থাৎ ২০২৩ সালের জুনে কাজ শেষ হওয়ার কথা। একই সময়ে প্রকল্পের নির্মাণ ব্যয় বাড়িয়ে চার হাজার ৩৬৯ কোটি সাত লাখ ১০ হাজার ৮১৯ টাকা করা হয়। সিডিএর এই প্রকল্প যৌথভাবে বাস্তবায়ন করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ম্যাক্স-র্যাঙ্কিন। ইতোমধ্যে ১৬ কিলোমিটার এক্সপ্রেসওয়ের কাজ শেষ হয়েছে। ৫৪ ফুট প্রশস্ত চার লেনের এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে আছে ২৪টি লুপ ও র্যাম্প এবং ৩৯০টি পিলার।