ভোটকেন্দ্রে ভোটারের উল্লেখযোগ্য উপস্থিতি ছাড়াই বোয়ালখালীতে উপজেলা পরিষদের উপনির্বাচন সম্পন্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক: বোয়ালখালীর দরপপাড়া হাজী মতিয়র রহমান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠ ভোটার শূন্য। খাঁ খাঁ করছে গোমদণ্ডী পাইলট মডেল উচ্চবিদ্যালয়ের মাঠ। এসব ছিল চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচনের চিত্র।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। শেষ হয়েছে বিকাল সাড়ে চারটায়। তবে ভোটারদের উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো ছিল না। কিছু কিছু কেন্দ্রে দু-একজন দেখা গেলেও কার্যত সাধারণ ভোটারের উপস্থিতি ছিলনা বললেই চলে। কিছু কেন্দ্রে নৌকা প্রতীকের অনুসারীদের উপস্থিতি চোখে পড়েছে।
সকাল সাড়ে আটটা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। দরপপাড়া হাজী মতিয়র রহমান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে সকাল সাড়ে ১০টায় গিয়ে দেখা যায়, একটি বুথে প্রথম ভোটার হিসেবে ভোট প্রয়োগ করেন গৃহীনি রোকসানা আকতার রুশী। তিনি বলেন, "জীবনে সর্বপ্রথম ভোটারের লাইনহীন ভোটকেন্দ্র প্রত্যক্ষ করলাম। এতো বেলা করে এসেও একটি বুথে আমিই ছিলাম প্রথম ভোটার!"
গোমদণ্ডী পাইলট উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে সকাল পৌনে ১০টায় দেখা যায় কোনো ভোটার নেই। কেন্দ্রের সাতটি কক্ষের দুটিতে তখনো ভোটই পড়েনি। বাকি ৫ কক্ষে ভোট পড়েছে ২০টি। কেন্দ্রগুলোয় নৌকা মার্কার প্রার্থীর এজেন্ট ছাড়া আর কাউকে দেখা যায়নি।
প্রিসাইডিং কর্মকর্তা আনিসুর রহমান বলেন, উপনির্বাচন নিয়ে মানুষের আগ্রহ কম। তবে কোনো ধরনের চাপ নেই।এ কেন্দ্রে ভোট দিতে আসা সুগত বড়ুয়া বলেন, "কোনো কাকপক্ষীও নেই দেখছি।"
গোমদণ্ডী আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে দেখা গেছে, নৌকা প্রতীকের কিছু লোকজন অবস্থান করছেন। তবে ভোটার নেই।
বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই ভোটার উপস্থিতি বাড়বে কি না, তা নিয়েও সন্দিহান ছিলেন সংশ্লিষ্টরা। কারণ, এ উপনির্বাচন নিয়ে আগে থেকেই ভোটারদের মধ্যে উৎসাহ–উদ্দীপনা কম দেখা গেছে।
নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের রেজাউল করিম নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে ছিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহজাদা এস এম মিজানুর রহমান ও কাজী আয়েশা ফারজানা। মিজানের প্রতীক আনারস, ফারজানার দোয়াত–কলম। মূলত, নৌকার সঙ্গে আনারসের প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। মিজান উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক প্রচার সম্পাদক ছিলেন। তিনি পৌরসভার সাবেক প্যানেল মেয়র।
উপজেলা পরিষদের উপনির্বাচনে বোয়ালখালী এলাকায় বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রে ভোটার নেই। তাই অলস সময় পার করেছেন নির্বাচনী কর্মকর্তারা।
বোয়ালখালীর উপনির্বাচনে মোট কেন্দ্র রয়েছে ৮৬টি। এর মধ্যে ৪৭টিকে গুরুত্বপূর্ণ বা ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে ঘোষণা করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। মোট ভোটার ২ লাখ ৬ হাজার ১৬৭ জন। ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট গ্রহণ করা হয়েছে। সকাল সাড়ে আটটা থেকে বিকেল সাড়ে চারটা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ চলেছে।
নির্বাচনে পাঁচজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও একজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত ছিলেন। প্রতি কেন্দ্রে স্ট্রাইকিং ফোর্সও নিয়োজিত ছিল। তিন প্লাটুন বিজিবি দায়িত্ব পালন করেছেন।
বোয়ালখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ মামুন বলেন, "নির্বাচনে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। পরিস্থিতি শান্ত ছিল। আশা করি, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।"
উল্লেখ্য, গত বছরের ২০ ডিসেম্বর বোয়ালখালী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আলমের মৃত্যু হয়। তাঁর মৃত্যুতে পদটি শূন্য হয়।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মুহাম্মদ আলমগীর চৌধুরী (আলমগীর রানা) । 01819-393591 পৃষ্ঠপোষক: হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর। উপদেষ্টামণ্ডলি : আলহাজ্ব মো. নাছির উদ্দিন চৌধুরী। সম্পাদকীয় কার্যালয়: ৭৩/৯ নূর মুহাম্মদ মার্কেট (৩য় তলা), টেরীবাজার, চট্টগ্রাম। যোগাযোগ: 01813-295129, [email protected], [email protected]
Copyright © 2025 বাণিজ্যিক রাজধানী. All rights reserved.