কিশোর গ্যাং: চট্টগ্রামসহ বোয়ালখালীতে বেড়েছে কিশোর অপরাধ
চট্টগ্রামে অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছে কিশোর গ্যাং। চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি, অস্ত্রবাজি, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার, মাদক ব্যবসা থেকে শুরু করে প্রায় সব অপরাধে জড়িয়ে পড়েছে কিশোররা। তাদের ব্যবহার করে ফায়দা লুটছে ‘গডফাদাররা’।
কিশোর গ্যাংয়ের নেতৃত্ব দিয়ে অনেকেই রাতারাতি আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনে গেছে। দিন যত যাচ্ছে ততই ভয়ংকর হয়ে উঠছে কিশোর গ্যাং। দিন-দুপুরে তারা ছিনতাই করছে। কথায় কথায় মারামারি ও অস্ত্রবাজি করছে। খুন করতে দ্বিধাবোধ করছে না। সর্বশেষ সোমবার রাতে নারীঘটিত বিষয় নিয়ে কিশোর গ্যাংয়ের ছুরিকাঘাতে দুই তরুণ খুন হন। এ ঘটনার পর চট্টগ্রামে কিশোর গ্যাং এর অপতৎপরতার বিষয়টি আবারও আলোচনায় এসেছে।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের তথ্যমতে, গত পাঁচ বছরে কিশোর গ্যাংয়ের হাতে অন্তত অর্ধশত খুনের ঘটনা ঘটেছে। তাদের দৌরাত্ম্য কমাতে গত চার বছর আগে তালিকা করা হলেও সেটি আর হালনাগাদ করা হয়নি। ফলে দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠছে পাড়া-মহল্লার উঠতি বয়সি কিশোররা।
ছবি: মোঃ সায়েম
বোয়ালখালী পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ড দরপপাড়ার গুরা মিয়া হাজী বাড়ির অছি মিয়ার ছোট ছেলে কথিত কিশোর অপরাধী মোঃ সায়েম (১৮) সন্ত্রাসী কায়দায় জনৈক রাজমিস্ত্রীকে বেধড়ক পিঠানোর অভিযোগে একটি অনলাইন পোর্টাল তার অপকর্মের নিউস প্রকাশ করায় গত ৮ মে দুপুর ২টা ৫০ মিনিটের সময় একটি অডিও কল-এ দৈনিক আমাদের চট্টগ্রাম এর বোয়ালখালী-চান্দগাঁও রিপোর্টার, বহুল আলোচিত পাক্ষিক আলোকিত বোয়ালখালী পত্রিকার বার্তা সম্পাদক ও প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক, সাপ্তাহিক বাণিজ্যিক রাজধানী পত্রিকার সম্পাদক, বোয়ালখালী প্রেস ক্লাবের নির্বাহী সদস্য, বাণিজ্যিক রাজধানী ডটকম অনলাইন পোর্টাল ও বিআর টিভি নিউস এর সম্পাদক আলমগীর রানাকে মুঠোফোনে হুমকী প্রদান করেন।
মুঠোফোনের ৩ মিনিটের কল রেকর্ড থেকে জানা যায় (পাঠকের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো), ‘‘হ্যালো, আসসালামু আলাইকুম, আঁই সায়েম হইদ্দি। অনরে যে হালিয়া হইলু ভাইয়্যা, ভিডিও ফুটেজ ইবা ডিলেট গরি দিবেল্ল্যাই, অনে কি গইরগুন্ন্যা? অনেতো আঁর মানহানি গইরত্যেলেগগুন, আঁইতো স্টুডেন্ট! আঁর বক্তব্য তো আঁই অনেরে লেইখ্ত্যাম ন-হই! অনে ওগ্গ্যা সাংবাদিক অনে লিখিত পারিবেন। এসআই হইয়েদে ও ওগগ্যা স্টুডেন্ট ওর গ্যায়া এগিন হাডি দিবেল্ল্যাই। হইয়িনে অনেরে? এসআই-ন, আঁই অহন যদি বাধ্যগত অই আঁই এসিল্যান্ড-নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে যাইয়ুম! তাও যনপরে আঁই সাংবাদিক যেগিন অফিস আছে এডে যাই আঁই মানহানি মামলা গইরগুম! অনে আঁর মানহানি গইরত্যাল্যাগগুন!
আইতো ভাইয়্যা অনরে ন-হই আরতে ওগ্গো ফুটেজ গ্যা গরন পরিবু, রিপোর্ট গরনপরিবু। আঁই হইলি তো নইবু ইয়েন আই বুঝিলাম! কারণ সাংবাদিকগিরি এগিন আঁই ছাঁড়িদিদি ভাইয়্যা বুইঝঝুনে, আঁরতো চ্যানেল আছেতঅ, আঁই ন-ছাড়িদি, আঁই হ-ওগ্ওগ্যা ছাড়িয়েরে দেইদ্দি এগিনত কিছু ন্যাই, হনো লাভশত্ব ন্যাই! আঁই বন্ধ গঁরিদিদি, বুইঝুনন্যে, অঁনে যদি গ্যা গরন, আঁর মানহানি গরন, আঁই নির্বাহী কর্মকর্তা আর এসিল্যান্ডের কাছে যাইতে আঁই বাধ্যগত।
যেহেতু আঁর মানহানি অঁর, আঁর শুভাকাঙ্খীঅল আঁরে কল দের। আর আঁই যদি ইয়েনর ব্যাপারে আঁ-র যদি হনো সমস্যা অয়? আঁ-ই তার আগে কিছু একখ্যান চিঠি লিখি য্যাইয়ুম! আঁই চিডি লেখি-যেইলি এগিন অঁনর উদ্দি দায়ভার, দায়বদ্দ থাইবু! অঁনরউদ্দি আঁই বেয়াগিন লেখি য্যাইয়ুম! এবেলা বিকেলের দিকে আঁই পইড়ত্যাম বইসস্যুম, এডে আঁর ওয়াইরগ্যাঅল আঁরে কল গরের বারবার! হদ্দে সায়েম তুর নামে এরকম-এরকম একখান হালিয়ে আইস্যি, আজিয়ে আরেকখান কিল্ল্যাই আইস্যা? আঁরে প-নে আঁজিয়ে আঁর ম্যাডামে আঁরে কল দের! অনে ছাড়নর পরপর, অনল্যাই-বলে লিংক আছে। এড আছে। আঁর ম্যাডামে আঁরে হদ্দে সায়েম তুর নামে আবারক্যা আইস্যি তুর সম্পর্কে? তুই গ্যা অইগেইয়ুছ নাকি? তুই চোর না ডাকাইত, তুর নামে পত্রিকাতকা আইসতু? যিয়েনদি আঁর মানহানি অঁর ইয়ুত আঁই যদি সুইসাইডো গরি, অনে বিশ্বাস গরিবেন ন্যা, বর্তমানে আঁই সুইসাইডের পথে! যদি আঁই সুইসাইড গরি আঁই কিছুনা কিছু লিখি য্যায়ুম অনের নামে! আঁই বাধ্যগত ইয়েনএল্লাই, আঁই দরকার অইলে এহন য্যায়ুম নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে, এহন য্যায়ুম। তারপর আরগিন অনে বুঝন!’’
‘‘আপনাকে বলেছে না, নিউসটি সাইট থেকে সরিয়ে ফেলতে। আমি কি আপনাকে বলেছি নিউস করতে? আমাকে সবাই ফোন করে জানতে চাইছে, সায়েম তুমি কি এমন? আমি ইউএনও-এসিল্যান্ডের কাছে অভিযোগ করবো এবং সুইসাইড করে ফাঁসিয়ে দেবো। আমার মৃত্যুর জন্য আপনি দায়ী থাকবেন।’’
তাঁর সম্পর্কে জানতে চাইলে পূর্ব গোমদণ্ডী আলহাজ্ব বদরুচ মেহের উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আসাদুজ্জামান এই প্রতিবেদককে বলেন, এসএসসি পরীক্ষার্থীরা টেস্ট পরীক্ষা দেওয়ার পর আর স্কুলের ছাত্র থাকে না। যদি তারা টেস্ট পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয় তখন তাদের ছাত্রত্ব থাকে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে জনৈক এলাকাবাসী জানান, সে প্রায় সময় পথেঘাটে স্কুলের ছাত্রীদের উত্যক্ত করে। বিভিন্ন সময় তাকে বাঁধা দিলে সে সড়ে পরে। ইভটিজিংয়ের এক ঘটনায় তার সহচরেরা ছাত্রী ও ছাত্রীর মায়ের গায়ে হাত তুলে। ওই ঘটনায় তার নামও স্কুলের অভিযোগ খাতায় লিপিবদ্ধ রয়েছে বলে দাবী করলেও প্রধান শিক্ষক বলেন, ইতিপূর্বে যেসব ঘটনা ঘটেছে তা পরিচালনা কমিটির সহযোগিতায় সমাধান হয়ে গেছে। তিনি খাতা দেখাতে অনিহা প্রকাশ করেন। তবে সে অষ্টম শ্রেণিতে একবার অকৃতকার্য হওয়ার কথা তিনি স্বীকার করেছেন। বর্তমানে তার বয়স ১৮ বছর।
তার বিরুদ্ধে একাধিক ভুক্তভোগী মানুষের ক্ষেতের ফসল, পোষাপাখি, গৃহস্থালি নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র চুরির অভিযোগ রয়েছে। মুদি দোকানি মাহমুদুল হক ও প্রবাসী আজিজুল হকের পোষা কবুতর চুরিরও অভিযোগ রয়েছে। এলাকায় ছাগল চুরি, মোবাইল চুরি, কম্পিউটার চুরিসহ বিভিন্ন অপকর্মের সাথে তার সংশ্লিষ্টতা রয়েছে দাবী করে এক প্রত্যক্ষদর্শি জানান, গত রমজানেও সেহরির পরে ফজরের নামাজের আগে কয়েকজন ছেলে নিয়ে দুই-তিন দিন তাকে সন্দেহজনক চলাফেরা করতে দেখা যায়।
এলাকায় টিকটকার হিসেবে পরিচিত বখাটে সায়েম তাদের ভাড়াটিয়া টাইলস মিস্ত্রি ফারুকের সাথেও হেলপার হিসেবে বেশ কয়েকমাস কাজ করেছে বলে জানা গেছে। মূলত কাজের লোকের ছদ্মবেশে সে ওইসব অপকর্ম করে বেড়ায়। ছেলের উশৃংখল জীবন যাপনে মা সায় দিলেও নিরহ বাবা এই প্রতিবেদকের কাছে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। বলেন, আজ ছেলের কারণে প্রতি পদেপদে অপদস্ত হতে হচ্ছে।
তারা তিন ভাইয়ের মধ্যে একভাই প্রবাসে থাকেন। একভাই সাকিব লেখাপড়ার পাশাপাশি নগরীর বহদ্দারহাটে খালাতো ভাইয়ের বিকাশ এজেন্টে বসেন। সাকিবের এক বন্ধু বলেন, সে ভালো। তবে মানুষের মুখে তার ছোট ভাইয়ের বিভিন্ন অপকর্মের কথা শুনেছি।
বিশ্বস্ত সূত্র জানায়, তার উঠাবসার সঙ্গী এবং ঘনিষ্ঠ সহচর হিসেবে রয়েছেন পেয়ার মাহমদ, পিতা-আবু; আরিফ, পিতা-জানু; আকাশ, পিতা- খোকন; সাহেদ, পিতা-ইসহাক; রাহাত, পিতা- টিটু প্রমুখ।
নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগকারী বলেন, কিভাবে একজন টিকটক বখাটে "সাংবাদিকগিরি" ছেড়ে দিয়েছি বলে হুমকি দেন আবার এলাকায় কিশোর গ্যাং লিডার হিসেবে পরিচিত ওই বখাটের নিউস মুছে ফেলার হুমকি দেয়া ও যেকোনো মহল থেকে নির্দেশ দেওয়াও সমান অপরাধ বলে দাবী করেন তিনি।
তিনি গতকাল ৯ মে বিকাল সাড়ে তিনটায় নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এই নিউস লেখা পর্যন্ত ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ের জন্য ইউএনও অভিযোগকারীসহ কাউকে কোনো কল দেননি।
তিনি আরো বলেন, কথিত সায়েমকে ইন্ধনদাতা মুখোশধারী থানার সোর্স, দালাল সাংবাদিক ও রাজনৈতিক নেতাদের যোগসাজসের তীব্র নিন্দা জানান সাংবাদিক মহল। একজন টিকটক মডেল "সাংবাদিকগিরি ছেড়ে দিয়েছি" বলে প্রকৃত সাংবাদিকদের হেয় করেছে। তার উপযুক্ত বিচার ও শাস্তি দাবি করেছেন স্থানীয় প্রেস ক্লাবের সাংবাদিকবৃন্দ।
অভিযোগকারী বলেন, একজন প্রকৃত ছাত্র তথা এসএসসি পরীক্ষার্থী কখনো এতো উগ্রতা দেখাতে পারেনা। নিশ্চয়ই সে কিশোর গ্যাংয়ের সাথে জড়িত বা বড়ভাইদের লীড পাচ্ছে। না হলে সে নিজে অপরাধ করে আবার আহত ব্যক্তিকে তুলে নেওয়ার জন্য তাৎক্ষণিক ১৫/২০ জন ছেলে হাসপাতালে উপস্থিত করা অসম্ভব! যা হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের জিজ্ঞাসাবাদে প্রমাণ পাওয়া যাবে।
হুমকি প্রদানের মাধ্যমে নিউসটি হাইড করে সে মূলত নিজেকে নির্দোষ, নিরপরাধী প্রমাণিত করতে চেয়েছে। ভবিষ্যতে যাতে তার ব্যক্তি জীবনে এর প্রভাব না পড়ে। সে জানে না এই হুমকি তার জন্য কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। তার থলের বিড়াল বেড়িয়ে এসেছে। পর্দার আড়ালের মুখোশ উন্মোচিত হয়েছে।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগ বোয়ালখালী উপজেলার সভাপতি ইকরামুল হক মুন্নার হোয়াটস অ্যাপে এবং সরাসরি ছাত্রলীগের সাথে সায়েমের সম্পৃক্ততা আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি কোনো তথ্য দিতে অনীহা প্রকাশ করেন। তবে নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায় সে স্কুল কমিটিতে ছাত্র বিষয়ক সম্পাদকের পদে রয়েছেন। সুবিধাবাদীরা তাকে ব্যবহার করছেন বলে জানা গেছে।
শাকপুরা ২ নং ওয়ার্ড থেকে চরখিজিরপুর ৭ ও ৮ নং ওয়ার্ড, সারোয়াতলীর বেঙ্গুরা, খিতাপচর, ইমামুল্লারচর এখন মাদকের রাজত্ব। এলাকার মাদকাসক্তদের মধ্যে কিশোরের সংখ্যা বেশি।
এ বিষয়ে প্রশাসন কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে সামাজিক অপরাধ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ক্ষমতাসীন দলের কতিপয় ছাত্র-যুব নেতা, পৌরসভার বেশ কয়েকজন কাউন্সিলর এবং এলাকার সন্ত্রাসীরা কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণ করছেন। অভিভাবকদের অসচেতনতা এর জন্য অনেকটাই দায়ী।
বিভিন্ন কারণে কিশোররা অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। এর জন্য পরিবার থেকে শুরু করে সামাজিক পরিবেশসহ বিভিন্ন কিছু দায়ী। উঠতি বয়সি কিশোরদের মধ্যে সব সময় উদ্দীপনা কাজ করে। ফলে খারাপ দিকে প্রভাবিত হয় বেশি। এজন্য পরিবারকে ভূমিকা নিতে হবে। পুলিশ আইনশৃঙ্খলা অবনতি হলে কঠোরভাবে প্রতিহত করবে।
সিএমপির গোয়েন্দা বিভাগের (উত্তর) অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার সোনাহর আলী শরীফ বলেন, ‘কিশোর গ্যাংয়ের অপতৎপরতা রোধে ডিবি সব সময় সক্রিয় থাকে। যখনই কোনো অপরাধ সংঘটিত হয় তখনই ডিবি এ ধরনের অপরাধীদের চিহ্নিত করা, তাদের আশ্রয়-প্রশ্রয়দাতা কারা তা খুঁজে বের করার চেষ্টা করে। এরা যে দল বা মতেরই হোক না কেন তাদের আইনের আওতায় আনার চেষ্টা করে। কিশোর গ্যাংয়ের হালনাগাদ তালিকা করার কোনো চিন্তা সিএমপির আছে কিনা-এমন প্রশ্নের জবাবে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, সিএমপির চারটি ক্রাইম ডিভিশন আছে। তারা অন্যান্য অপরাধীর পাশাপাশি কিশোর গ্যাংকে চিহ্নিত করার কাজটি করে। একইসঙ্গে কিশোর ও অভিভাবকদের মধ্যে সচেতনতা তৈরিতেও ক্রাইম ডিভিশন কাজ করছে।
কিশোর গ্যাংয়ের অপতৎপরতা বৃদ্ধি প্রসঙ্গে সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি অ্যাডভোকেট আখতার কবীর চৌধুরী বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শৈথিল্যও হতে পারে এর একটি বড় কারণ। এছাড়া সামনে জাতীয় নির্বাচন। হয়তো বিশেষ কোনো উদ্দেশ্যে কথিত রাজনৈতিক বড়ভাইরা তাদের ব্যবহার করছে। আমরা বিশ্বাস করি, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী চেষ্টা করলে এক সপ্তাহের মধ্যে সবকিছু নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব। ঠিকমতো নজরদারি করলে কিশোর গ্যাংয়ের অপতৎপরতা বন্ধ হবে। তবে অভিভাবকদের সন্তানদের প্রতি খেয়াল রাখতে হবে।
বোয়ালখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক এর কাছে এবিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এগুলো জমি-জমা সংক্রান্ত বিষয়। কিশোর গ্যাং সম্পর্কে আমার জানা নেই। তথ্য থাকলে আমাকে জানাবেন।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মুহাম্মদ আলমগীর চৌধুরী (আলমগীর রানা) । 01819-393591 পৃষ্ঠপোষক: হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর। উপদেষ্টামণ্ডলি : আলহাজ্ব মো. নাছির উদ্দিন চৌধুরী। সম্পাদকীয় কার্যালয়: ৭৩/৯ নূর মুহাম্মদ মার্কেট (৩য় তলা), টেরীবাজার, চট্টগ্রাম। যোগাযোগ: 01813-295129, [email protected], [email protected]
Copyright © 2025 বাণিজ্যিক রাজধানী. All rights reserved.