বাংলা একাডেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত সাংবাদিক শামসুল হকের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সিটি মেয়র

বাংলা একাডেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত সাংবাদিক শামসুল হকের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সিটি মেয়র

বাংলা একাডেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত সাংবাদিক শামসুল হকের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সিটি মেয়র বলেছেন গবেষকরাই ইতিহাসকে বাঁচিয়ে রাখেন।

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা এম রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, প্রকৃত গুণীরা পদকের জন্য কাজ করেন না। তাদের একাগ্রতার মধ্যদিয়ে একদিন স্বীকৃতি অর্জিত হয়। গবেষকরা হারিয়ে যাওয়া বিষয়কে জাগিয়ে তুলেন। তাদের কাজ ইতিহাসকে বাঁচিয়ে রাখে। নানা প্রতিবন্ধকতাকে উপেক্ষা করে তারা তাদের সাধনায় নিয়োজিত থাকেন। পরবর্তী প্রজন্মকে পথ দেখায়। গবেষণা কাজে অর্থের প্রয়োজন। আবার যাদের অর্থ আছে তারা এমন কাজে নিয়োজিত থাকেন না। তারা অর্থের পেছনে মগ্ন।

১৮ জুন রোববার দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব আয়োজিত মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক গবেষণায় বাংলা একাডেমি পুরস্কারে ভূষিত সাংবাদিক মুহাম্মদ শামসুল হকের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এ কথাগুলো বলেন।

চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সভাপতি সালাহ্উদ্দিন মো. রেজার সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক দেবদুলাল ভৌমিক।

চসিক মেয়র আরো বলেন, ইতিহাস চর্চা একটা দূরূহ কাজ। অথচ সাংবাদিক শামসুল হক দীর্ঘদিন ধরে সাহসিকতার সাথে এই কাজে নিজেকে সম্পৃক্ত রেখেছিলেন। নানা পরিস্থিতির মধ্যেও তিনি নিরবিচ্ছিন্নভাবে কাজ করায় রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি হিসেবে বাংলা একাডেমি পদকে ভূষিত হয়েছেন। এতে আমি চট্টগ্রামের মেয়র হিসেবে পুলকিত। তার গবেষণাকে আরো তরাণি¦ত করতে আমার সহযোগিতা থাকবে।

প্রেস ক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক শহীদুল্লাহ শাহরিয়ারের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন সিনিয়র সহ-সভাপতি চৌধুরী ফরিদ, বিএফইউজে-বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের যুগ্ম মহাসচিব মহসিন কাজী, প্রেস ক্লাবের সাংস্কৃতিক সম্পাদক নাসির উদ্দিন হায়দার, কার্যকরী সদস্য জসীম চৌধুরী সবুজ, স্থায়ী সদস্য ওমর কায়সার এবং কামরুল হাসান বাদল।

সভাপতির বক্তব্যে সালাহ্উদ্দিন মো. রেজা বলেন, মুহাম্মদ শামসুল হকের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি সাংবাদিকসমাজ ও চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের জন্য গৌরবের। তার কর্মের মাধ্যমে তিনি ইতিহাসে অমর হয়ে থাকবেন। তার সাংবাদিকতা ও গবেষণা অন্যান্যদের প্রেরণা জোগাবে।

সংবর্ধনার জবাবে মুহাম্মদ শামসুল হক বলেন, পাকিস্তানের শোষণ ও মুক্তিযুদ্ধে তাদের নির্মমতা এবং স্বাধীনতাপরবর্তী সময়ে ইতিহাস বিকৃতি আমাকে গবেষণাকর্মে উজ্জীবিত করেছে। সাংবাদিকতা পেশায় এসে এই কাজে আরো বেশি মনোযোগী হয়েছি। আওয়ামী লীগ ছাড়াও বিভিন্ন সরকারের আমলে বঙ্গবন্ধু ও স্বাধীনতা নিয়ে গবেষণামূলক বিভিন্ন প্রকাশনা বের করেছি। কিন্তু তা নিয়ে এই পর্যন্ত বিতর্কের সুযোগ হয় নি। নানা টানাপোড়েনের মধ্যেও এই দূরূহ কাজ থেকে বিচ্যুত হইনি। আনুষ্ঠানিকভাবে আমাকে সংবর্ধিত করায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের অর্থ সম্পাদক রাশেদ মাহমুদ, ক্রীড়া সম্পাদক এম সরওয়ারুল আলম সোহেল, গ্রন্থাগার সম্পাদক কুতুব উদ্দিন, সমাজসেবা ও আপ্যায়ন সম্পাদক আল রাহমান, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক খোরশেদুল আলম শামীম, কার্যকরী সদস্য মো. আইয়ুব আলী, স্থায়ী সদস্য স ম ইব্রাহীম, আফজল রহিম সিদ্দিকী, স্বপন কুমার মল্লিক, সুলতান আহমদ আশরাফী, আসিফ সিরাজ, মুজাহিদুল ইসলাম, প্রদীপ নন্দী, প্রভাত বড়ুয়া, মো. শহীদুল ইসলাম, বিশ্বজিৎ বড়ুয়া, জিয়াউদ্দিন এম এনায়েতউল্লাহ, দেব প্রসাদ দাস দেবু, মাহবুব উর রহমান, নুরউদ্দিন আহমেদ, মুস্তফা নঈম, মোহাম্মদ ফারুক, আলমগীর সবুজ, মিন্টু চৌধুরী, মো. সাইদুল আজাদ, প্রণব বল, কামাল উদ্দিন খোকন, এসএম ইফতেখারুল ইসলাম, আবুল কালাম বেলাল, অমিত বড়ুয়া, মোহাম্মদ জহির, আরিচ আহমেদ শাহ, এনামুল হক, সুমন গোস্বামী, অনুপম বড়ুয়া প্রমুখ ।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email