
জুমার দিনের সকাল: এক বরকতময় সূচনা
মুহাম্মদ ফজলুল হক
আল্লাহ মহান। ইসলামে জুমার দিন একটি বিশেষ মর্যাদাপূর্ণ দিন। এই দিনের সকালটিকে সঠিকভাবে কাজে লাগালে আল্লাহর অসংখ্য রহমত ও বরকত লাভ করা যায়। আসুন জেনে নেই জুমার দিনের সকালে কী কী করা যেতে পারে:
১. ফজরের নামাজ জামাতে আদায় করা
ফজরের নামাজের ফজিলত অপরিসীম, বিশেষত এই দিন।
২. সূরা কাহফ তিলাওয়াত করা
হাদিসে এসেছে, জুমার দিনে সূরা কাহফ পাঠ করলে নূর (আলো) প্রকাশ পায় এক জুমা থেকে আরেক জুমা পর্যন্ত।
৩. যিকির ও তাসবীহে মগ্ন থাকা
“সুবহানাল্লাহ”, “আলহামদুলিল্লাহ”, “আল্লাহু আকবার” ইত্যাদি বেশি বেশি পড়া।
৪. জুমার গোসল করা ও পরিচ্ছন্ন হওয়া
সুন্নাত অনুযায়ী গোসল করা, পরিষ্কার জামা পরা এবং আতর ব্যবহার করা।
৫. নখ ও অপ্রয়োজনীয় লোম পরিষ্কার করা
শরীরের পরিচ্ছন্নতা ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
৬. ইবাদতের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া
শান্তভাবে আগেভাগে মসজিদে গিয়ে খুতবা শোনা এবং খুতবার পূর্বে তাহিয়্যাতুল মসজিদ পড়া।
৭. রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর ওপর দরূদ পাঠ
জুমার দিন বেশি বেশি দরূদ পাঠ করলে রাসূল (সা.) স্বয়ং তা গ্রহণ করেন।
জুমার দিন যেন আমাদের জন্য রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের মাধ্যম হয়—এই দোয়াই করি।
জুমা মুবারক! জুমার দিনের বরকত পূর্ণ ব্যবহার শুরু হোক সকালের কাজ দিয়ে।
ইবাদতে যাদের সকাল সাজে, তাদের দিনও হয় নূরে ভরা।