
বোয়ালখালীর দরপপাড়ায় এসএসসি পরীক্ষার্থীর হামলার শিকার রাজমিস্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক: বোয়ালখালী পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ড দরপপাড়ায় এসএসসি পরীক্ষার্থীর হামলার শিকার হয়েছেন জনৈক রাজমিস্ত্রী।
আজ (৫ মে শুক্রবার) সকাল পৌনে ১০টায় দরপপাড়ার আবদুস শুক্কুরের ছেলে রাজমিস্ত্রী আবদুল করিম (৩২) মধ্যম মহল্লার অছিউর রহমান প্রকাশ অইচ্ছ্যার ছেলে এসএসসি পরীক্ষার্থী সায়েম (১৮) কর্তৃক হামলার শিকার হয়েছেন।

জানাযায়, সায়েম মেয়ে সহপাঠীদের সাথে নিয়ে কোচিং থেকে ফেরার সময় এবং করিম সিকদার পুকুর পাড় থেকে বাড়ি ফেরার পথে দরপপাড়া আসাদীয়া নূরীয়া সেহাবীয়া জামে মসজিদের মাঠ সংলগ্ন মাজারের পাশে তাদের দেখা হয়।
সেসময় সায়েমের পোষা ময়নাপাখিকে খাওয়ানোর জন্য করিমের ক্ষেত থেকে পুনরায় পেলং তুলতে নিষেধ করলে সায়েম সন্ত্রাসী কায়দায় করিমের উপর এই হামলা করে।
পরে করিমের ভাই আবদুল ফারুকসহ সায়েমকে পেছন থেকে ধাওয়া করলে সায়েম কৌশলে তাদেরকে তার বাড়িতে নিয়ে মায়ের সহযোগিতায় লোহার রড দিয়ে পুনরায় করিমের মাথায় পাল্টা আঘাত করে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত এলাকাবাসী করিমকে সেখান থেকে রিকশায় করে উপজেলা হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যায়। কর্তব্যরত চিকিৎসকের কাছ থেকে চিকিৎসাসেবা নিয়ে তারা বাড়ি ফিরে আসেন। তার ঠোঁটে ৫টি সেলায় দেওয়া হয়েছে। ঘাড়ে, মাথায় এবং কপালে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
সূত্র জানায়, কথিত সায়েম গতবার এসএসসি পরীক্ষায় রেজাল্ট খারাপ করে এবার পুনরায় পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করছেন। সে এলাকায় ছাত্রলীগের দাপট দেখিয়ে বেড়ায়। হাসপাতালেও দরপপাড়া ও মীরপাড়া থেকে ১৫/২০ জন ছেলে নিয়ে সেখানে সবাইকে হুমকীধমকী দেয়। তার বাবা একজন বিদেশফেরত কৃষক।
এই সংবাদ লেখা পর্যন্ত থানায় বাদি-বিবাদী কোনো পক্ষের এখনো কোনো মামলা হয়নি। জানা গেছে, বিবাদীরা হাসাপাতালে পুলিশ কেইস স্লিপ নিতে ব্যর্থ হয়েছেন। আগামীকাল পৌরসভায় সমঝোতা বৈঠকের সময় দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন হামলার শিকার করিমের বড়ভাই ফারুক।
এইদিকে সায়েম ও তার বড়ভাই সাকিব এই প্রতিবেদককে জানান, সে এবারই প্রথমবারের মতো এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করছেন। তার দাবি, সে নিজেকে আত্মরক্ষার জন্য পাল্টা আক্রমণ করছেন। তার ওপর আঘাত করতে গিয়ে করিম আহত হয়েছেন। হাসপাতালে সে কোনো ছেলে নিয়ে যায়নি। বরং তার বাড়িতেই করিমের পক্ষের লোকজন গিয়ে তাকে শ্বাসিয়ে এসেছেন।
থানায় খোঁজ নিয়ে জানা যায়, হাসপাতাল থেকে পুলিশ কেইস স্লিপ নিয়ে ওইদিন প্রথমে সায়েম এর মা কুলছুমা খাতুন বেয়ালখালী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। পরে করিমের মা আনোয়ারা বেগমও একটি অভিযোগ দায়ের করেন। এরপর সায়েম এর বাবা অছি মিয়া আরো একটি অভিযোগ দায়ের করলেও তা নথিভুক্ত হয়নি।
স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর মো: ইসমাইল হোসেন চৌধুরী আবু ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেছেন, “থানায় মামলা হলে আমি নাই। আগামীকাল সকাল ১০টায় সবাইকে পৌরসভায় আসতে বলেছি।”