গাজাবাসীর জন্য ২৫০ মিলিয়ন রিয়াল সংগ্রহ করল সৌদি

 

গাজাবাসীর জন্য ২৫০ মিলিয়ন রিয়াল সংগ্রহ করল সৌদি

 

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজাবাসীর জন্য সহায়তা তহবিল সংগ্রহের কার্যক্রম চালু করেছে সৌদি আরব। দেশটির বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ ও ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান ৫০ মিলিয়ন সৌদি রিয়াল দেওয়ার মাধ্যমে তা উদ্বোধন করেন।

 

গত ২ নভেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে এ কার্যক্রম চালুর পর প্রথম দুই দিনে চার লাখের বেশি মানুষ আড়াই শ’ মিলিয়ন রিয়ালের বেশি অনুদান দেন। রিয়াদভিত্তিক আন্তর্জাতিক মানবিক সহায়তা সংস্থা কিং সালমান হিউম্যানিটেরিয়ান এইড অ্যান্ড রিলিফ সেন্টারের (কেএস রিলিফ) মাধ্যমে তহবিল সংগ্রহের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।

 

রয়াল কোর্টের উপদেষ্টা ও কেএস রিলিফের তত্ত্বাবধায়ক ডা: আবদুল্লাহ বিন আবদুল আজিজ আল-রাবিয়াহ বলেন, ‘কেএস রিলিফের সাহেম (https://sahem.ksrelief.org/Gaza) অ্যাপের মাধ্যমে কিংবা আল-রাজি ব্যাংকের অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে অনুদান দেয়া যাবে। পাঠানো অর্থ থেকে কোনো ধরনের ফি কাটা হয় না, বরং পুরো অর্থ নির্দিষ্ট সুবিধাভোগীদের কাছে পৌঁছানো হবে। সংকটকালে ফিলিস্তিনি জনগণের জন্য তহবিল সংগ্রহের মাধ্যমে সৌদি আরব ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করেছে।’

 

এদিকে সৌদি আরবের শীর্ষ আলেমদের সংগঠন কাউন্সিল অব সিনিয়র স্কলার্সের প্রধান ও গ্র্যান্ড মুফতি শায়খ আবদুল আজিজ বিন আবদুল্লাহ আল-শেখ দেশটির মুসলিমদের এই তহবিলে অনুদান দেয়ার আহ্বান জানান।

 

তিনি বলেন, ‘সৌদি আরব সব সময় অভাবগ্রস্ত ও দুর্দশাগ্রস্তদের সহায়তায় অগ্রণী ভূমিকা রেখেছে। একজন মুসলিমের বিপদে পাশে দাঁড়ানো অন্য মুসলিমের কর্তব্য। ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় আমাদের ভাইদের সহযোগিতার মাধ্যমে ইসলামী শরিয়তের গুরুত্বপূর্ণ মানবিক দিকটি পালন করা যাবে।’

 

কিং সালমান হিউম্যানিটেরিয়ান এইড অ্যান্ড রিলিফ সেন্টার সৌদি সরকার পরিচালিত একটি আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থা। ২০১৫ সাল থেকে সংস্থাটি বিশ্বের ৯৩টি দেশে মানবসেবামূলক কার্যক্রম চালু রেখেছে। নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোকে উন্নয়ন ও মানবিক সহায়তা হিসেবে সংস্থাটি ছয় বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি ব্যয় করেছে।

 

গত ৭ অক্টোবর থেকে ইসরাইলে হামাসের হামলার পর ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় বর্বর গণহত্যা শুরু করে ইসরাইল। গত ২৬ দিনে চলমান এই যুদ্ধে গাজায় ৯ হাজারেরও বেশি মানুষ মারা গেছে, যার মধ্যে অর্ধেকের বেশি নারী ও শিশু। নৃশংস এই হত্যাযজ্ঞ থেকে হাসপাতাল, স্কুল, কলেজ, মসজিদ, গির্জা, ঘরবাড়িসহ কোনো কিছুই রক্ষা পায়নি।

সূত্র : আরব নিউজ

 

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email