মার্চে কালুরঘাট সেতুর সংস্কার কাজ

এ বছরই ট্রেন যাবে কক্সবাজার: ফজলে করিম চৌধুরী

কালুরঘাট সেতু দিয়ে এ বছরের শেষের দিকে ট্রেন যাবে কক্সবাজার। সেই লক্ষ্যে পুরাতন কালুরঘাট সেতুটি শক্তিশালী করার কাজ মার্চে শুরু হবে বলে জানিয়েছেন রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী।

বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে কালুরঘাটে সড়ক ও জনপথ বিভাগের ফেরি সার্ভিসের কাজ পরিদর্শনে এসে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় রেলওয়ে ও সওজের কর্মকর্তা-কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।

ফজলে করিম চৌধুরী এমপি বলেন, ‘ ৪ মার্চ উদ্বোধনের সম্ভাবনা রয়েছে ফেরি সার্ভিস। তিনটি ফেরি আনা হয়েছে। এর মধ্যে দুইটি চলাচল করবে। অপরটি স্ট্যান্ডবাই থাকবে। ফেরি চালুর পর কালুরঘাট সেতু শক্তিশালী করার কাজ শুরু হবে। সেতু সংস্কারের পরপরই ট্রেন চলাচল করবে কক্সবাজার। আশা করি এ বছরের শেষের দিকে ট্রেন চালু করা যাবে।’

এ সময় তিনি আরো বলেন, ‘ট্রেন চালু হলে মানুষের যাতায়াত ও ট্যুরিজমের জন্য ভালো হবে। ইতিমধ্যেই স্টেশনগুলো অত্যন্ত নান্দনিকভাবে তৈরি করা হয়েছে। জাহাজ-বিমান চালানো যতটা সহজ, ট্রেন চালানো ততটা সহজ নয়। রোড-ব্রিজ সব কিছুই রেলওয়েকে করতে হয়। ট্রেনের ইঞ্জিন যেহেতু ভারী তাই পুরাতন কালুরঘাট সেতু পারাপারে কিছুটা ধীর গতিতে চলবে।’

নতুন সেতু নির্মাণের বিষয়ে তিনি জানান, ‘২০২৪ সালে নতুন সেতু নির্মাণের কাজ শুরু হবে। যেহেতু সেতুর নকশায় পরিবর্তন আনা হয়েছে। আগে সেতুর উচ্চতা ৭ মিটার রেখে নকশা করা হয়েছিল। বর্তমানে তা ১২ মিটার উচ্চতায় উত্তীর্ণ করা হয়েছে এবং নির্মাণ ব্যয় আগের চেয়ে দুইগুণ বেশি।’

পরিদর্শনকালে উপস্থিত রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘বুয়েটের ফাইনাল কারিগরি প্রতিবেদন পেলেই টেন্ডার করা হবে। ব্যয় যুক্তিযুক্ত হলেই মার্চে টেন্ডার করবে রেলওয়ে। তিনি জানান, সংস্কারের পর ফেরি নাও লাগতে পারে। তবে ভারী যানবাহন পারাপারের জন্য ও নতুন সেতু করা পর্যন্ত ফেরি চালু থাকলে ভালো হয়। আশা করি আমরা সেই পর্যন্ত ফেরি পাবো।’

সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী পিন্টু চাকমা বলেন, ‘ফেরি চালুর জন্য এপ্রোচ ও বেইল সড়কের কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। ফেরি মেরামতের জন্য আলাদা একটি মাঠ তৈরি করা হচ্ছে। মার্চের ৪ তারিখ সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী মহোদয় ফেরি সার্ভিস চলাচলের উদ্বোধন করার কথা রয়েছে।’

প্রকৌশলী পিন্টু চাকমা জানান, ‘ফেরির টোল বা ভাড়া নির্ধারণের জন্য নীতিমালা রয়েছে। ইতিমধ্যে তা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। তা অনুমোদন পেলে ইজারাদার নিয়োগ দেওয়া হবে। প্রতিটি ফেরি ১৫-১৬টি বড় গাড়ি ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন বলে জানান তিনি।’

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email