সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা আর নেই। রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১০ টার দিকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন তিনি। তার বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। নাজমুল হুদার একান্ত সচিব আক্কাস খান তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০১ সালে পর পর তিনবার বিএনপির টিকিটে ঢাকা-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৯১ সালে বিএনপি সরকার গঠন করলে তিনি তথ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত তিনি বিএনপি’র নেতৃত্বাধীন সরকারের যোগাযোগমন্ত্রী ছিলেন।
১৯৭৮ সালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) গঠিত হলে এর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হন ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা। তিনি ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য। ২০১২ সালে ৬ই জুন নাজমুল হুদা বিএনপি থেকে পদত্যাগ করেন। ওই বছর আবুল কালাম আজাদকে সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ফ্রন্ট (বিএনএফ) নামে নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করেন। ২০১৪ সালের ৭ মে তিনি বাংলাদেশ জাতীয় জোট নামে একটি জোট গঠন করেন এবং ২১ নভেম্বর তিনি বাংলাদেশ মানবাধিকার পার্টি নামে একটি দল গঠন করেন। ২০১৫ সালে তৃণমূল বিএনপি নামে নতুন একটি দল গঠন করেন। এই দলটিকে চলতি মাসে নির্বাচন কমিশন নিবন্ধন দিয়েছে।
জানা যায়, তিনি চট্টগ্রামের বোয়ালখালীস্থ আধ্যাত্মিক পীঠস্থান আহলা দরবার শরীফের একনিষ্ঠ ভক্ত এবং দরবার শরীফের তৎকালীন সাজ্জাদানশীন হযরত সেহাবউদ্দীন খালেদ প্রকাশ সেহাব বাবাজান ক্বেবলা (রহঃ) এর একনিষ্ঠ মুরীদ ছিলেন।
দেশের প্রখ্যাত আইনজীবী, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি, সাবেক যোগাযোগ এবং তথ্য মন্ত্রী ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা ইন্তেকালে আঞ্জুমানে আসাদীয়া নূরীয়া সেহাবীয়া কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে গভীর শোক ও শোকাহত পরিবার বর্গের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করা হয়েছে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে।
