
প্রত্যেক তরিকার খাস বা বিশেষ কিছু রুলস আছে, যেগুলো পালন করলে তরিকার নিসবত হাসিল হয়ে যায়। তবে প্রত্যেক তরিকায় একটা বাণী নিহিত আছে,- “তুমি যদি কামালিয়ত হাসিল করতে চাও, তাহলে যথাসম্ভব চুপ থাকার চেষ্টা কর।”
বিশ্বের মধ্যে জারি এবং বিলুপ্তপ্রায় মিলে বর্তমানে ৩০০ এর উপরে তরিকা আছে, একেক তরিকা একেক নিয়মে চলে। সেই প্রসঙ্গে মওলানা জালাল উদ্দীন রুমী (রহ.) বলেন,- “খোদা পাওয়ার অনেক রাস্তা আছে, তার মধ্যে আমি নিত্য’কে বেঁচে নিয়েছি।”
আরো আছে, “তুমি যদি রাস্তা খুঁজো তাহলে অনেক রাস্তা পাবে, আর তুমি যদি মঞ্জিল খুঁজো তাহলে প্রত্যেক রাস্তায় দিয়ে তুমি মঞ্জিলে মকসুদ পৌঁছতে পারবে।”
তিনি আরো বলেন,- “গতকাল চালাক ছিলাম, তাই পৃথিবীকে বদলাতে চেয়েছিলাম আজ আমি বিজ্ঞ, তাই নিজেকে বদলাতে চাই।”
তরিকত ওয়ালাদের কি কি থাকা প্রয়োজন তা মওলানা রূমী (রহ.) তার মসনবী শরীফে সম্পূর্ণভাবে ব্যাখ্যা করে দিয়েছেন। যারা এই মহান বাণী গুলোর মর্ম বুঝবেনা, বা এই মহান বাণীগুলোর কার্যকলাপ তার ভিতরে থাকবেনা। সে কখনো তরিকতওয়ালা বা পীরের আসনে বসতে পারবেনা। কারণ প্রত্যেক পীর তরিকতওয়ালা, আর তরিকত ওয়ালাদের মধ্যে এই গুণগুলো বিরাজ করে। আর একজন কামেল পীর সবসময় ধৈর্য ধরে, চুপ থাকে। আর তরিকত মানে যদিও রাস্তা বা পথ তবে তার হাকিকত অর্থ হচ্ছে বাকরুদ্ধ হয়ে যাওয়া, চুপ থাকা, নিজেকে চিনা, নিজেকে জানা।
মওলানা রূমী (রহ.) বলেন, “আমি আগে প্রেমের বর্ণনা করেছি। যখন নিজের ভিতর প্রেম সৃষ্টি করেছি তখন থেকে বাকরুদ্ধ হয়ে গেছি।”
যদি চুপ থাকায় উত্তম না হত তাহলে ইমাম গজ্জালী (রহ.) চুপ থাকাকে ১০০ ভাগের ৯০ ভাগ ইবাদত বলতেন না।
মাইকের মধ্যে যদি সমালোচনা করে ইসলাম প্রচার করা যেত তাহলে বাংলাদেশের প্রত্যেক পীর মাশায়েখগণ “দেওয়ানবাগী, ভন্ড গাউছুল আযম, চরমোনায়, ওয়াহাবী, জামাতি, ভন্ডদের নিয়ে পাবলিকলি মুখ খুলতেন। বরং উনারা চুপ থেকে, সবর করেও স্ব-স্ব শিক্ষার মাধ্যমে মানুষকে সুন্নীয়তের পক্ষে রেখেছেন। ইসলামের পতাকা অক্ষুণ্ণ রেখেছেন।
সংকলন: হিমু